পারভেজ আলী মোহর যশোর প্রতিনিধি:
যশোরের ঝিকরগাছার কাটাখাল গ্রামের শাহাদতের ছেলে আফিল জুট মিলের কর্মচারি তৌফিক হোসেন হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনেভেস্টিগেশনের সদস্যরা (পিবিআই) রোববার (২১ জানুয়ারি) সকালে একই এলাকার কাশেম মোড়লের ছেলে ভ্যান চালক কেসমত ওরফে ক্যাসেট ওরফে বাবুকে ভোলা থেকে আটক করেছে।
কেসমত ওরফে ক্যাসেট বাবু ওরফে বাবু ভোলা জেলার দৌলতখান থানার দক্ষিণ জয়নগর গ্রামে তার খালু জয়নাল আবেদীনের বাসায় গোপনে অবস্থান করছিলো। পিবিআই গোপনে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই(নিঃ) স্নেহাশীষ দাশ জানান, কেসমত ওরফে ক্যাসেট ওরফে বাবুকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তৌফিককে ছুরিকাঘাতে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। আজ আদালতে প্রেরণ করা হয়।
তৌফিকের সাথে ভ্যান চালক কেসমত ওরফে ক্যাসেট ওরফে বাবুর স্ত্রী রিয়ার পরকীয়া সম্পর্ক ছিলো। এর জের ধরে শনিবার ২০ জানুয়ারি সকালে তৌফিককে মোবাইল ফোনে বাড়ি ডেকে নিয়ে কেসমত ওরফে ক্যাসেট বাবু ছুরিকাঘাতে পেটের নাড়ি ভুড়ি বের করে হত্যা করে। তৌফিক হত্যাকান্ডের পর ক্যাসেট পালিয়ে যায়।
আগের দিন শুক্রবার ১৯ জানুয়ারি রাতে ক্যাসেট বাবুর স্ত্রী রিয়ার সাথে তৌফিককে রান্না ঘরে দেখা যায়। এতে সন্দেহ হয় ক্যাসেট বাবুর। এ বিষয় নিয়ে স্ত্রী রিয়ার সাথে তার ঝগড়া হয়। এরপর প্রতিশোধ নিতে ক্যাসেট বাবু ২০ জানুয়ারি সকালে তৌতিফকে তাদের বাড়ি ফোনে ডাকে। বাড়ি আসার পর তৌফিকের সাথে বিষয়টি নিয়ে ক্যাসেট বাবুর কথাকাটকাটি হয়।
এ সময় ক্যাসেট বাবু ধারালো ছুরি দিয়ে তৌফিকের পেটে স্টেপ করে। নাড়ি ভুড়ি বের হয়ে যায় তৌফিকের। রিয়া তাকে ঝিকরগাছা হাসপাতালে নিয়ে যায়। শারীরিক অবস্থার অবন্নতি হলে তৌফিককে যশোর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার্ড করে।সেখানে আনার পথে তৌফিক অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরনে মারা যায়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: বিল্লাল হোসেন
www.e.bdprotidinkhabor.com
Copyright By MOHAMMAD ASIF