বিশেষ সংবাদদাতা
আ হ ম মোস্তাফা কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা- আইসিসির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০১২ সালে প্রথম বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির দায়িত্ব নেন নাজমুল হাসান পাপন। তারপর কেটে গেছে পুরো ১ যুগ। ১২ বছর পর এবার বিসিবি প্রধানের পাশাপাশি প্রথমবার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী হয়েছেন পাপন।
মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের পর আজ রোববার সাপ্তাহিক কর্মদিবসের প্রথম দিন মন্ত্রনালয়ে অফিস করেছেন পাপন। যেহেতু তিনি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদেরও চেয়ারম্যান, তাই দুপুরের পর দায়িত্ব বুঝে নিতে ক্রীড়া পরিষদ ভবনে (এসএসসি) আসেন পাপন।
বিপুল মানুষের উপস্থিতিতে সংবর্ধিত হওয়ার পর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন পাপন। সেখানে অনেক প্রশ্নের ভীড়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, এত কাল তিনি শুধু ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ছিলেন। এখন তিনি দেশের যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী। ক্রীড়াঙ্গনের অভিভাবক। সব ক্রীড়া ফেডারেশনেরও অভিভাবক। সেই ফেডারেশনগুলোর কাছে তার চাওয়া কি?
প্রশ্নের উত্তরে পাপন গুছানো জবাবে বলেন, ‘আমি আগে সব গুলো ক্রীড়া ফেডারেশনের সাথে আলাদা করে বসবো। তাদের কথা শুনবো।
তিনি আর বলেন,‘আমাদের দেশে অনেক ফেডারেশন আছে। কিছু ফেডারেশনের আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে সাফল্য আছে। তারা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে হয় বিশ্বমঞ্চে, না হয় মহাদেশীয় পর্যায়ে ভাল করছে। আবার কিছু আছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এখনো ভালো করতে না পারলেও ভবিষ্যতে ভালো করার সম্ভাবনা আছে। আবার এমন কিছু ফেডারেশনও আছে যাদের কোনই সম্ভাবনা নেই। কিন্তু আমরা তাদেরও বাদ দেব না। সবাইকে খেলার সুযোগ করে দিতে হবে।’
প্রতিটি ফেডারেশনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিবিড় চোখে পরখ করার কথাও বলেছেন ক্রীড়ামন্ত্রী। প্রতিটি ফেডারেশনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য এনএসসি থেকে যে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়, তা দেয়ার পাশাপাশি তিনি সবকটা ফেডারেশনকে ৩ বছর সময় বেঁঁধে দিতে চান।
ব্যাখ্যা করে পাপন বলেন, ‘প্রতিটি ফেডারেশনকে ৩ বছরের সময় বেঁধে দেয়া হবে। এর মধ্যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করে দেখাতে হবে। পাপন বলেন, প্রতিটি ফেডারেশনকে সম্ভাব্য সব রকম সাহায্য সহযোগিতা করা হবে ফেডারেশনের জন্য। তবে তিন বছরের মধ্যে অগ্রগতি দেখাতে হবে।’
‘সব খেলা তো আর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যাবে না। এমন অনেকগুলো ফেডারেশন আছে, যারা ইতোমধ্যেই ভালো। তবে, তাদের আর্থিক সমস্যা আছে। তারা আমার সঙ্গে বসে আমাকে একটা লক্ষ্য দেবে, বাজেট দেবে। আমি তিন বছর সময় দিব তাদের। যেন অগ্রগতি দেখতে পারে।’- যোগ করেন ক্রীড়ামন্ত্রী।
বিসিবি সভাপতি আরও বলেন, ‘ফেডারেশনগুলো আমাকে পাঁচ-সাত-দশ বছরের লক্ষ্যমাত্রা দিতেই পারে। তাই বলে আমি এত সময় দেওয়ার পক্ষে না। কারন তাহলে আর আমি দেখে যেতে পারবোনা। তিন বছর পর যদি দেখি তারা ভালো করছে, লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তাহলে সামনের দিকে ভাবব। লক্ষ্যপূরণ করতে না পারলেও যে ফাইন্যান্স করা বন্ধ হবে তেমনটি নয়, তখন যারা উন্নতির দিকে যাচ্ছে সেদিকে বাড়তি নজর দেব।’
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: বিল্লাল হোসেন
www.e.bdprotidinkhabor.com
Copyright By MOHAMMAD ASIF