ঝড় তুলেছিলেন লিটন দাস। নাবিল সামাদ, সৈয়দ খালেদ আহমেদের বলে একের পর এক বাউন্ডারিতে দলকে এনে দেন উড়ন্ত সূচনা। ইনিংসের পরের অংশের দায়িত্বটা নিজের কাঁধে তুলে নেন ইংলিশ অলরাউন্ডার মইন আলি। তার ব্যাটেও ওঠে সাইক্লোন।
লিটন-মইনের তান্ডবে ঢাকায় ফিরে খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আগেই প্লে-অফ নিশ্চিত করা দলটির নির্ধারিত ২০ ওভারে সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৮৮ রান। প্রতিপক্ষে আমন্ত্রণে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারটি দেখেশুনেই খেলেন কুমিল্লার দুই ওপেনার লিটন দাস ও মাহমুদুল হাসান জয়।
লিটন-মইনের তান্ডবে ঢাকায় ফিরে খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আগেই প্লে-অফ নিশ্চিত করা দলটির নির্ধারিত ২০ ওভারে সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৮৮ রান। এই ম্যাচ জিতে প্লে-অফের দিকে এগিয়ে যেতে খুলনাকে করতে হবে ১৮৯ রান।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন খুলনার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। প্রতিপক্ষে আমন্ত্রণে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারটি দেখেশুনেই খেলেন কুমিল্লার দুই ওপেনার লিটন দাস ও মাহমুদুল হাসান জয়।
নাবিলের করা দ্বিতীয় ওভারে ১৬ ও খালেদের করা তৃতীয় ওভারে ১৯ রান নিয়ে শুরুটা দুর্দান্ত করেন লিটন-জয়। তবে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে জয়কে (১৫ বলে ১১) ফিরিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা দেন নাবিল। পরের ওভারে থিসারা পেরেরার প্রথম বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ আউট হন লিটন।
মুশফিকের দারুণ ক্যাচে পরিণত হওয়ার আগে ৪টি চার ও ৩টি ছয়ের মারে মাত্র ১৭ বলে ৪১ রানের দৃষ্টিনন্দন ইনিংস খেলেন ডানহাতি ওপেনার লিটন। এরপর ৮ বল খেলে মাত্র ৫ রান করতে সক্ষম হন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। দশ ওভারের মধ্যে মাত্র ৭১ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে কুমিল্লা।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে দলকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যান ফাফ ডু প্লেসি ও মইন আলি। এ দুজনের জুটিতে আসে ৮৩ রান, তাও মাত্র ৭.৪ ওভার। যেখানে বড় অবদান মূলত মইন আলির। অনেকটা ওয়ানডে স্টাইলে খেলে ৩৬ বলে ৩৮ রান করেন ডু প্লেসি।
ঠিক বিপরীত রূপে ছিলেন মইন। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে মাত্র ২৩ বলে তুলে নেন নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ২৫তম ফিফটি। যেখানে ছিল ৭টি ছয়ের মার। ফিফটি ছোঁয়ার পর আরও ১ চারের সঙ্গে ২ ছক্কা হাঁকান মইন।
ইনিংসের ১৯তম ওভারের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ১ চার ও ৯ ছয়ের মারে মাত্র ৩৫ বলে ৭৫ রানের সাইক্লোন চালান এ ইংলিশ অলরাউন্ডার। ইনিংসের একদম শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে ১৮৮ রানে নিয়ে যান মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।
খুলনার পক্ষে ২ উইকেট নিয়েছেন থিসারা পেরেরা। এছাড়া নাবিল সামাদ, শেখ মেহেদি হাসান, সৌম্য সরকার ও সৈয়দ খালেদ আহমেদের শিকার ১টি করে উইকেট।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: বিল্লাল হোসেন
www.e.bdprotidinkhabor.com
Copyright By MOHAMMAD ASIF