ষষ্ঠ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের বিরোধ সংক্রান্ত শুনানি ও নিষ্পত্তিতে ‘ট্রাইব্যুনাল ও আপিল ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ধাপে ২২০টি ইউপিতে বিভিন্ন প্রার্থীর মধ্যে ফলাফল ও নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ নিষ্পত্তি করার জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
গত ৩১ জানুয়ারি ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এনির্বাচনে চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত নারী সদস্য ও সাধারণ সদস্য পদের নির্বাচনী বিরোধ সংক্রান্ত দরখাস্ত/ আপিল নির্বাচনী ট্রাইব্যুনা ও নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালে শুনানি করে নিষ্পত্তি করা হবে। ইসির আইন শাখা থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী, নিবার্চনের ফলাফল গেজেটে প্রকাশের তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে নিবার্চন বা নিবার্চনী কার্যক্রম বিষয়ে আপত্তি উত্থাপন ও প্রতিকার প্রার্থনা করে নিবার্চন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা যাবে।
মামলা হলে নিবার্চন ট্রাইব্যুনাল ১৮০ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করবে। নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের রায়ে কোনো ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হলে ওই ব্যক্তি রায় ঘোষণার তারিখ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে নিবার্চন আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করতে পারবেন।
আপিল দায়ের করা হলে নিবার্চন আপিল ট্রাইব্যুনাল ১২০ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করবে। নিবার্চন আপিল ট্রাইব্যুনালের রায় চূড়ান্ত বলে গণ্য করা হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ ধাপে ২২০টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য ও সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদের নির্বাচনী বিরোধ সংক্রান্ত দরখাস্ত/আপিল গ্রহণ, শুনানি ও নিষ্পত্তিতে সিনিয়র সহকারী জজের সমন্বয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার (ইউপি) আইন, ২০০৯ এর ধারা ২৩ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নির্বাচন কমিশন, আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে নির্বাচনের সব বিরোধ সংক্রান্ত শুনানি ও নিষ্পত্তি করতে এ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: বিল্লাল হোসেন
www.e.bdprotidinkhabor.com
Copyright By MOHAMMAD ASIF