নরসিংদীর রায়পুরায় পূবশত্রুতার জেরে মো কারুক মিয়া(৩২)নামে এক যুবককে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের উপর। এ ঘটনায় ৭ দির রায়পুরা থানায় ১১জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগীর পরিবার।

এ ঘটনার সাথে জড়িত দুই জন দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। গুরুত্বর আহত ফারুক মিয়া নরসিংদী জেলার উপজেলার চরসুবুদ্ধি ইউনিয়নের বাট খোলা গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। পুলিশ ও স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, নরসিংদী জেলা রায়পুরা উপজেলার বাটখলা এলাকার হাসিম মোল্লা ও নুরুল ইসলামের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত দুই পরিবারের মধ্যে জমিজমা ও পূব শত্রুতার জেরে বিরোধ চলে আসছিল।

এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মামলা হামলা চলে আসছে। পুর্ব শুক্রতার জেরে গত (১৩জুলাই) বুধবার মসজিদে কথাকাটা -কাটির ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ হয়।

রাত আনুমানিক ৯টার সময় পুর্বপরিকল্পিত ভাবে নুরুল ইসলামের বাড়িতে প্রতিপক্ষের ১০-১২লোকজন সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ফারুক মিয়াকে ঘরের দরজা ভেঙে ঘরে ডুকে পরে ঘরের বাহিরে এনে এলোপাতাড়ি মাথায় কুপিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করেন পরে গলায় ছুরি দিয়ে জবাই করার সময় স্থানীয় আশেপাশের লোকজন টের পেয়ে গুরুত্বর আহত ফারুক মিয়াকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরন করেন।

এ ঘটনায় আহতের ভাবি শিল্পী বেগম বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় ১১জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আহত ফারুক মিয়ার ভাবি শিল্পী বেগম জানান,তাদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত পূর্ব শত্রুতার জেরে বিরোধ চলে আসছে।

পূর্ব শত্রুতার জেরে রাতে খাবার খাওয়ার সময় আমাদের বাড়ীতে প্রতিপক্ষের লোকজন অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুরত্বর আহত করেন। ওই সময় ঘটনাস্থল আমরা না থাকলে আমার দেবর ফারুকে ছুরি দিয়ে জবাই করে মেরে ফেলত।

তাকে বাচাঁতে গিয়ে আমিসহ বেশ কয়েকজনকে গুরুত্বর আহত হয়। সন্ত্রাসী হামলার সাথে জড়িতদেরকে গ্রেফতার করে দ্রæত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। অভিযুক্ত হাসিম মোল্লার মেয়ে জানান, ওইদিন সন্ধ্যায় মসজিদের নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে আমার বাবাকে ফারুক মিয়া অপমান করলে আমাদের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা চালায়।

এ ঘটনায় উভয় পক্ষের গুরুত্বর আহত হয়েছে। এ নিয়ে ফারুক মিয়া আমার ভাইকে ছুরিকাঘাত করে আহত করেন। বাবাসহ বেশকয়েজন রায়পুরা উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ জানান, গতকাল (২১ জুলাই) বৃহস্পতিবার এ ঘটনার অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় মামলা নথিভূক্ত করা হয়েছে। আজ (২২ জুলাই) শুক্রবার দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় সাথে জড়িতদেরকে দ্রæত আইনের আওতায় আনা হবে।