নরসিংদীর রায়পুরা পলাশতলী গ্রামে মেঘনা নদী ভাঙ্গনে দেড় কিলোমিটার এলাকা দেড়শতাধিক বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন ও শত শত কোটি টাকার মালামাল সম্পদ বিনষ্ট। নদী ভাঙ্গন রোধে বাড়ীঘর রক্ষার জন্য বেড়ীবাঁধ নির্মানের দাবীতে মানববন্ধন করেছেন ক্ষতিগ্রস্থত পরিবার ।
ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন নরসিংদী জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের লোকজন।
আজ সকালে নরসিংদীর রায়পুরা পলাশতলী গ্রামের মেঘনা নদী ভাঙ্গন এলাকা পরির্দশন করেছেন নরসিংদী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: মাসুম,উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আজগর হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড নরসিংদীর নির্বাহী প্রকৌশলী বিজয় ইন্দ্র শঙ্কর চক্রবর্তী,উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি মো: সাজ্জাদ হোসেন,শ্রীনগর ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজ মুর্শেদ খান রাশেল,শ্রীনগর ইউপি সভাপতি আব্দুল মোতালিব,পলাশতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সভাপতি আব্দুল বাছেদ সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
স্থানীয়রা বক্তব্যে বলেন, নরসিংদীর রায়পুরা শ্রীনগর ইউনিয়নের চরপলাশতলী গ্রামটি অবস্থিত। ৪ হাজার লোকের বসবাস। এখানে দাখিল মাদ্রাসা, প্রাথমিক বিদ্যালয়,মসজিদ,কবরস্থান বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে,এ গ্রামটি প্রায় ৪০ বছর যাবৎ মেঘনা নদী ভাঙ্গনে কয়েক শতাধিক বিঘা ফসলি জমি বসত বাড়ী গাছপালা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে শত শত কোটি টাকা মালামাল সম্পদ বিনষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থত পরিবার স্থানীয় এমপি সাবেক মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহম্মেদ রাজুর মাধ্য ভাঙ্গন রোধে বেড়ীবাঁধ নির্মানের দাবী করে আসছে। বেড়ীবাঁধ নির্মান না করায় তাদের ভয়াবহ এতবড় ক্ষতি শিকার হয়েছে। পলাশতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সভাপতি আব্দুল বাছেদ বলেন, গত দুই দিনের নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থত পরিবার গুলো ভয়ে আতংকে দিশাহারা, তাদের মাথা গুছার ঠাই নাই তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন না করা হলে গ্রামের অবশিষ্ট অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে,বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে এ গ্রামটির নাম মুছে যাবে। বেড়ীবাঁধ নির্মানের জন্য প্রশাসন দীর্ঘদিন যাবৎ আশ্বাস দিয়ে আসছে,এখনো বাস্তবায়ন হয়নি, সামনে আশ্বাস নই আমরা বেড়ীবাঁধ নির্মান বাস্তবায়ন চাই।
বেড়ী নির্মানের জন্য বিভিন্ন মিডিয়ায় এত লেখালেখি করেও সরকার কোন সঠিক প্রদক্ষেপ গ্রহন করেনি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: বিল্লাল হোসেন
www.e.bdprotidinkhabor.com
Copyright © 2025 বাংলাদেশ প্রতিদিন খবর. All rights reserved.