জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু  শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শহীদ শেখ রাসেলের ৫৮ তম শুভ জন্মবার্ষিকী আজ।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের এই দিনে ধানমন্ডির ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন।১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানবতার শত্রু ঘৃণ্য ঘাতকদের নির্মম বুলেট থেকে রক্ষা পাননি শিশু শেখ রাসেল। বঙ্গবন্ধুর সাথে নরপিশাচরা নির্মমভাবে তাকেও হত্যা করেছিল। তিনি ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন।

এ বিষয়ে দক্ষিন টাঙ্গাইলের গর্ব, নাগরপুর-দেলদুয়ারের গণমানুষের নেতা, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটির অন্যতম সদস্য ও টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সদস্য জননেতা তারেক শামস খান হিমুর সাথে গণমাধ্যমের কথা হয়।

 তিনি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন-  শেখ রাসেল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ছোট সন্তান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদরের ছোট ভাই। রাজনীতির তীর্থস্থান ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ১৯৬৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। দীর্ঘ সাত বছর পর বঙ্গবন্ধু পরিবারে নতুন অতিথি আসার কারণে সবার মধ্যেই ছিল অন্যরকম আনন্দ উচ্ছ্বাস।

রাসেল নামকরণেরও আছে সুন্দর একটি ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা দুজনই সময় পেলে বই পড়তেন, ছিলেন নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী, দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের ভক্ত। বার্ট্রান্ড রাসেল ছিলেন পারমাণবিক যুদ্ধবিরোধী আন্দোলনের বিশ্বনেতা। বিশ্ব শান্তির জন্য গঠন করেছিলেন ‘কমিটি অব হান্ড্রেড’।

শেখ রাসেলের জন্মের দুবছর আগে ১৯৬২ সালে কিউবাকে কেন্দ্র করে আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ চলছিল। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ যখন দ্বারপ্রান্তে তখন শান্তির পতাকা নিয়ে হাজির হয়েছিলেন বার্ট্রান্ড রাসেল। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা আগেই সিন্ধান্ত নিয়ে রেখেছিলেন যে তাদের যদি পুত্র সন্তান হয় তাহলে শান্তির দূত বার্ট্রান্ড রাসেলের নামের সঙ্গে মিল রেখে নাম রাখবেন রাসেল।রাসেল যখন খুব ছোট তখন পিতা বঙ্গবন্ধু ছয় দফা পেশ করার কারণে দীর্ঘমেয়াদে কারাবরণ করেন।

কিন্তু দুঃখের বিষয় ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগস্ট কিছু বিপথগামী সেনা সদস্য ও রাজনৈতিক কুচক্রী মহল ক্ষমতার লোভে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সকল সদস্যদের সাথে নির্মমভাবে নিহত করেন ছোট্ট শিশুর রাসেলকে, যা ইতিহাসের মধ্যে অন্যতম ঘৃণিত একটি অধ্যায়।তাই আজ শেখ রাসেল এর ৫৮ তম জন্মবার্ষিকীতে তাকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ভালোবাসা জানাই এবং তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।