বৃহস্পতিবার, ০১ Jun ২০২৩, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে আপন চাচাকে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী ভাতিজা বশির আহাম্মদ’কে দীর্ঘ ৩৪ বছর পর রাঙ্গামাটি হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭ চট্টগ্রাম।
১। বাংলাদেশ আমার অহংকার এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
২। নিহত ভিকটিম মকবুল হোসেন এবং আসামী বশির আহাম্মদ সম্পর্কে চাচা ভাতিজা হয়। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ-বন্টন নিয়ে পারিবারিক অশান্তি ও দ্বন্ধ চলে আসছিল। এক পর্যায়ে আসামী বশির আহাম্মদ তার চাচা নিহত ভিকটিম মকবুল হোসেনকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে। এরই জের ধরে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৯ ইং তারিখে আসামী বশির আহাম্মদ (৫৫) ও তার সহযোগী আসামীরা মকবুল হোসেন (২৫)’কে ছুরিকাঘাতে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
৩। পরবর্তীতে এ ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে আসামী বশির আহাম্মদ এবং আরও ৭/৮ জনকে আসামী করে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং নং-৮(২)৮৯ তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৯ ধারা -৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০। উল্লেখ্য মামলা রুজুর পর হতে আসামী বশির আহাম্মদ আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়।
বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ বিচার কার্যক্রম শেষে আসামীর অনুপস্থিতিতে গত ১৯ নভেম্বর ১৯৯২ইং তারিখে উক্ত হত্যা মামলায় প্রধান আসামী বশির আহাম্মদকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।
৪। র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বর্ণিত হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরধারী এবং ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে। নজরধারীর এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, বর্ণিত আসামী রাঙ্গামাটি জেলার রাঙ্গামাটি সদর থানাধীন মুসলিম পাড়া